নাম না করে কল‍্যাণ বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় এর কটাক্ষের জবাব নাম না করেই দিলেন শুভেন্দু অধিকারী

20th November 2020 6:55 pm হুগলী
নাম না করে কল‍্যাণ বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় এর কটাক্ষের জবাব নাম না করেই দিলেন শুভেন্দু অধিকারী


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  বলাগড়ের শেরপুরে শুক্রবার দুপুরে শীতবস্ত্র প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলেন রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।শুক্রবার অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে দলীয় কোন কথা না বললেও নাম না করে শ্রীরামপুরের  সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জীর উদ্দেশ্যে মানুষের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি। যে যদি কোন জনপ্রতিনিধি তাকে বা তার পরিবারকে অসম্মান করেন সেটা কি মানুষ মেনে নেবে।কারণ কিছুদিন আগে বৈদ্যবাটীতে কর্মী সভায়  শুভেন্দু সম্পর্কে নাম না করে আলু বিক্রির কথা বলেছিলেন কল্যাণ ব্যানার্জী।এদিন শুভেন্দু বলেন সিপিএম সাংসদ অনিল বসু অধিকারী পরিবারকে নিয়ে বাজে কথা বলেছিলেন সেটা মানুষ মেনে নেয়নি।এখন বর্তমান জনপ্রতিনিধি কেউ শুভেন্দু বা তার পরিবার নিয়ে বাজে কথা বললে মানুষ সেটাও মেনে নেবে না।শুভেন্দু ঘনিষ্ঠদের সূত্রের খবর কল্যাণ ব্যানার্জীর শুভেন্দুকে নাম না করে আলু বিক্রি করার বক্তব্যের এদিন কল্যাণ ব্যানার্জীর নাম না করেই জবাব দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।এদিন সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে নারী শক্তির কথাও শোনা যায় শুভেন্দুর গলায়।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।